নিজস্ব প্রতিবেদক:
দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের বাবা হাজী নূর হোসেন (৭২) ইন্তিকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রবিবার (১২ মে) দিনগত রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে গাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
নূর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, লিভার ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, পাঁচ ছেলেও পাঁচ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সোমবার (১৩ মে) বেলা ১১টায় কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, পেশাজীবি ও স্থানীয়রা অংশ নেন।
সাংবাদিক জসিম জানান, বাবাকে বেশ কিছু দিন হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। একটু সুস্থবোধ করায় চিকিৎসকরা তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। নিয়মিত ওষুধ সেবনে তিনি সাবলীল ভাবে চলাচল করছিলেন। রবিবার রাতে নামাজ শেষে খাবার খেয়ে শুয়ার পর সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ খারাপ লাগছে বলার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ইসলামপুর হতে বের হওয়া গাড়ি ঈদগাঁও এলাকা পার হতেই গাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এদিকে, তার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে জেলার সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সাংবাদিক জসিমের বাবার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিবিআরইউ)।
এক বিবৃতিতে শোক জানান সিআরইউর সভাপতি রাসেল চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সায়ীদ আলমগীর। তারা শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
অপর দিকে এক বিবৃতিতে শোক জানান- দৈনিক মেহেদী পত্রিকার প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন কিশোর, উপদেষ্টা সম্পাদক মীর মোঃ আকরাম হোসাইন, সম্পাদক জান্নাতুন নয়ীম রুমি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোঃ নাজিম উদ্দিন, পরিচালক মনছুর আলমসহ দৈনিক মেহেদী পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ। তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে, শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। এছাড়াও শোক জানিয়েছেন নানা পেশাজীবি ও সমাজিক সংগঠনও, আরো শোক প্রকাশ করেন ইসলামপুর শিল্প এলাকার শ্রমিক সংগঠন ও মিল মালিক সমিতির সদস্যরা।