নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে রামু ফকিরা বাজারের পূর্ব পাশে বাঁকখালী নদী থেকে প্রকাশ্যে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।
হুমকির মুখে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি চলাচল অযোগ্য ফকিরা বাজার অলিগলি রাস্তাধুলাবালিতে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। রামু ফকিরা বাজারের পূর্ব পাশে বাঁকখালী নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে।একটি অসাধু চক্রটি স্থানীয় প্রশাসনও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ লক্ষ টাকার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বলে স্থানীয় সচেতন মহল দাবি করছেন।
বাঁকখালী নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে পূর্ব রাজারকুলের বাঁকখালী নদীর পাড়ে বসানো সিসি ব্লকসহ আশপাশের ফসলি জমি এবং ঘরবাড়ি নদীতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। এদিকে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার দাবি তুললে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারী চক্রটি উল্টো রামু উপজেলা প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাদেরকে মাসিক মাসোহারা দিয়ে বাঁকখালী নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে বলে দাপটের সাথে সবাইকে ধমক দেন।
গত এক বছরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারী চক্রের সদস্যদের মধ্যে অনেকে এখন মোটা অংকের টাকার মালিক বনে গেছেন।
বালু উত্তোলনের কারণে নদীর গভীরতা সৃষ্টি হয়ে তীরবর্তী বাড়িঘর, ফসলি জমি ভাঙন ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মারাত্মক আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে রামু ফকিরা বাজারের অলিগলি রাস্তায দিয়ে প্রতিদিন বালু ভর্তি শত শত পিকআপ চলাচলের কারণে রাস্তাগুলো জনসাধারণের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ, ধুলাবালির কারণে ঠিকমত ব্যবসা করতে পারছি না। দোকানের জিনিসপত্র ধুলায় নোংরা হয়ে যাচ্ছে। জামাকাপড় নষ্ট হচ্ছে ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারন মানুষ। যেকোনো তদন্তকারী সংস্থা যদি ফকিরা বাজারের পূর্ব পাশে বালুচর পরিদর্শন করলে অবৈধভাবে উত্তোলনকারীদের ড্রেজার মেশিন এবং এস্কেভেটর স্বচক্ষে দেখতে পাবেন।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন,অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ এবং বালু উত্তোলনকারি চক্রটি বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, কক্সবাজারের পরিবেশ অধিদপ্তর,কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।