মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে রেহাই ও সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী টেকনাফ উপজেলার ২নং হ্নীলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দরিদ্র দিনমজুর মোহাম্মদ আব্দুর রহমানকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে রেহাই পেতে ও সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) কক্সবাজারের স্থানীয় দৈনিক মেহেদী পত্রিকা অফিসে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুর রহমানের স্ত্রী রেহেনা আক্তার (২৫)। তিনি বলেন, গত ১৫/০৬/২০২২ইং আমার মেয়ে মীমহা মনি দুপুরে মাছ দিয়ে ভাত খাওয়ার বায়না ধরায়, আমার স্বামী মেয়ের আবদার মেঠানোর লক্ষে বাড়ীর পাশে বিলে সন্ধ্যার সময় মাছ ধরার জন্য যায়। পরে গভীর রাত হয়ে গেলে আমরা তাকে খুঁজতে বের হয়, অনেক্ষণ খুঁজাখুজির পরে কোন খবর না পাওয়ায় আমারা বাড়ীতে ফিরে আসি। অনুমানিক রাত ৯ টার সময় এলাকার লোকের মাধ্যমে জানতে পারি যে, বি.জি.বি এর কয়েক জন ফোর্স আমার স্বামীকে ধরে নিয় গেছে। আমরা রাত অনুমানিক ১১টার সময় এলাকার গণ্যমান্য মানুষ ও ৩, ৫, ৬নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার নাসরিন পারভীন কবিরসহ হ্নীলা পুরাতন বাজার বিজিবি ক্যাম্প এ যায়। তখন বি.জি.বি ক্যাম্প এর কয়েকজন সদস্য আমাদের সাথে কথা বলে জানাই যে, উক্ত বি.জি.বি ক্যাম্প এ আব্দুর রহমান নামের কাউকে নিয়ে আসে নাই এবং এই নামের কেউ নেই। তখন আমরা গভীর রাতে ঝড় বৃষ্টির সময় বাড়ীতে ফিরে আসি রাত অনুমানিক ১২টা বাজে।
পর দিন অর্থাৎ ১৬/০৬/২০২২ইং তারিখ সকাল অনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় এলাকার লোকের মাধ্যমে জানতে পারি যে, আমার স্বামী টেকনাফ মডেল থানায় রয়েছে।

এলাকার লোক আরো জানাই যে, তাদেরকে থানায় না যেতে বারণও করেছে। তাই আমরা যায়নি বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে আমাদের হয়রানি করে তাই আমরা থানার সাথে যোগাযোগ করিনি। পরে তিনি কোথায় ছিল আমরা আর জানতে পারিনি। আমার স্বামীর খুঁজে অনুমান ৮ দিন চলে যাওয়ার পরেরদিন আমার মামি শাশুড়ির মোবাইলে আমার স্বামী কল করে এবং আমরা জানতে পারি তিনি কারাগারে রয়েছে। আমরা জেল হাজতে অর্থাৎ কক্সবাজার কারাগারে স্বাক্ষাৎ করতে যায় এবং আমার স্বামী আমাকে সম্পূর্ণ ঘটনা বলে। আমার স্বামী কারাগারে আমাকে হুবুহু যেভাবে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছিলেন- আমি ২টি বালতি নিয়ে বিলে যায় যেখানে একটি লাল রঙ্গের ও অন্যটি কাল রঙ্গের। সাথে আরও ছিল ১টি ছাতা, টর্চ লাই। হুট করে আমার পেছন থেকে আমার কোমরে লুঙ্গির গুছ ধরে ফেলে তখন আমি মাছ ধরা অবস্থায় ছিলাম। আমাকে ধরার সাথে সাথে আমার চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং আমাকে নিয়ে যায় এক অজ্ঞাত স্থানে। পরে জানতে পারি যে, আমি নাকি একটি মামলার আসামী যার জি.আর মামলা নং- ৫৭৫/২০২২ইং আর কিছু আমি জানি না। ঔই সময় সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রহমানের পরিবারসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *