এমন অভিযোগে রবিবার বিকালে অভিযানে যান কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিল্লুর রহমান। অভিযানে সরকারি পাহাড় কাটার সত্যতা পান তিনি। এসময় পাহাড় কেটে তৈরি করা প্লটে কয়েকটি ঘর উচ্ছেদ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলাতলী ৫১ একরের পেছনে ‘জয়নাল সওদাগরের ঘোনা’ হিসেবে পরিচিত সরকারি পাহাড়গুলো কাটা হচ্ছে প্রকাশ্যে। প্রায় পাঁচ একরের একটি পাহাড় দিনরাত কাটছে শ্রমিকরা। এসব সরকারি পাহাড়গুলো দীর্ঘদিন ধরে দখলে রাখেন জয়নাল সওদাগর নামে এক ব্যক্তি। কয়েকমাস আগে এসব পাহাড়ের একটি বিশাল পাহাড় ক্রয় করেন সোলতান মাহমুদ বাবুল সিন্ডিকেটরা। পাহাড় ক্রয় করার পর সেখানে পাহাড় কাটার ধুম পড়ে। ইতোমধ্যে বিশাল পাহাড়ে একটি অংশ কেটে প্লটও তৈরি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সোলতান মাহামুদ বাবুলের নেতৃত্বে গত দুই মাস ধরে সরকারি পাহাড়টি কাটা হচ্ছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৬ জন রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে পাহাড়টি কাটা হচ্ছে। পাহাড় কেটে ইতোমধ্যে ঘরও তৈরি করা হয়েছে। একদিকে পাহাড় কাটা, অন্যদিকে চলছে প্লটে ঘর তৈরি।
অভিযোগের বিষয়ে সোলতান মাহামুদ বাবুল বলেন, জয়নাল সওদাগরের কাছ থেকে আমি অল্প করে জায়গা কিনেছি। আমার মতো আরও কয়েকজনে কিনেছে। তবে সেখানে পাহাড় কাটা হচ্ছে না। লেবু গাছ রোপনের জন্য সংস্কার করা হচ্ছে। এক পর্যায়ে নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ বলেন, কলাতলী ৫১ একরের পেছনে সরকারি পাহাড় কাটার খবর পেয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদর এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিল্লুর রহমান বলেন, বিকালে অভিযানে গিয়ে বিশাল সরকারি পাহাড় কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে জড়িতরা পালিয়ে যায়। এসময় পাহাড় কেটে তৈরি করা প্লটে নির্মিত কয়েকটি ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে।
সরকারি পাহাড় কাটায় জড়িত কয়েকজনের নামও পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এবং পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।