নিজস্ব প্রতিবেদক: সামনে বড় রাস্তা আর পিছনে উন্মুক্ত নালা। রাস্তা ও নালার মাঝখানের ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ ভাজা মাছের দোকান। উন্মুক্ত জায়গা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভাজা এসব খাবার খাচ্ছেন পর্যটকরা। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট ও সাংস্কৃতিক পয়েন্টে প্রায় ৭০টি লাইসেন্সবিহীন ভ্রাম্যমাণ দোকানে ভাজা মাছ ইচ্ছামতো দামে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
এমন অভিযোগ রবিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় অভিযান চালান সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) জিল্লুর রহমান ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন) ছৈয়দ মুরাদ ইসলাম। এসময় প্রায় ৭০টি মতো ভাজা মাছের ভ্রাম্যমান দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের দিকে গিয়ে দেখা গেল, সড়কের প্রবেশমুখে ভ্যানগাড়িতে ভাজা মাছ ও কাঁকড়া বিক্রি হচ্ছে। ভ্যানগাড়িতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে লইট্যা, চিংড়ি, পোপা, মাইট্যা, লবস্টার, কাঁকড়া, কালোচান্দা, টেকচান্দা, রাঙাচকি ও মাইট্যাসহ হরেক রকমের ভাজা মাছ। কাঁচা মাছের ওপর হলুদমিশ্রিত ময়দার প্রলেপ দিয়ে ভাজলে মচমচে দেখায় এসব মাছ। ভ্যানগাড়ি ঘিরে এসব ভাজা মাছ খাচ্ছেন বিপুলসংখ্যক পর্যটক। এসব ভ্যানগাড়ির পাশেই রয়েছে জলাবদ্ধতা ও নালা। নোংরা পরিবেশে মাছি ও মশার উৎপাত সবসময়। এসময় জায়গায় ৭০টি মতো ভ্রাম্যমান ভ্যানের দোকানে বিক্রি হচ্ছে ভাজা মাছ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ দোকান গুলোর কোন বৈধতা নেই। প্রায় সময় দোকান গুলো উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ করে চলে যাওয়ার পর ফের তারা আবারও বসে।
কক্সবাজার সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) জিল্লুর রহমান বলেন, রাস্তা ও নালার পাশে উন্মুক্ত ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভাজা মাছ গুলো বিক্রি করা হচ্ছে। প্রায় পর্যটক এসব খাচ্ছেন। এসব অভিযোগে রবিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের ভ্রাম্যমাণ দোকান গুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। নিয়মিত এসব উচ্ছেদ অভিযান চলবে।