গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় “বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীর অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল, বয়ে চলছে নিন্দার ঝড়”, “তরুণীর সঙ্গে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীর অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল” শিরোনামে সংবাদটি আমি নিম্ন সাক্ষরকারীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটিতে কিছু সত্যের সাথে জঘন্য মিথ্যাচারের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে আমার বিরুদ্ধে একতরফা তথ্যসন্ত্রাসী আক্রমণ করা হয়েছে। আমি একজন ভুক্তভোগী হিসেবে এই রঙ মেশানো মিথ্যাচার গালগল্পের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকাশিত এই সংবাদের ফলে আমার জীবন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হলো- একটি অচেনা ফেইসবুক আইডি থেকে আমাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠায়। আমি সরল বিশ্বাসী লোক হওয়ায় নারী সংক্রান্ত এইসব বিষয়ে একেবারেই অপরিপক্ষ। এর ফলে প্রায়শই জানা-অজানা ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট গ্রহণ করে থাকি। ওই অচেনা নারী আমার সাথে বন্ধু সুলভ আচরণ করে আমার সাথে সৌজন্য সম্পর্ক গড়ে তুলে। কয়েকবার তিনি আমার সাথে মেসেঞ্জারে কথা বলতে চাইলে তাকে বন্ধু ভেবে আমার জীবনের বিভিন্ন গল্প বর্ণনা করে থাকি। কিন্তু ওই নারী বিভিন্ন সময় স্বাভাবিক ভিডিও কলের স্ক্রীন রেকর্ড করে কিছু কিছু অংশ কেটে এডিট করে আমার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চাঁদা দাবি করে ব্লাকমেইলিং করতে থাকে। পরবর্তীতে ওই নারী যে দুর্ধর্ষ প্রতারক সেটি বুঝতে পেরে আমি টাকা দিতে অনীহা প্রকাশ করে কক্সবাজার সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করি। জিডিতে পুরো ঘটনা বর্ণনা করি। কিন্তু এক পর্যায়ে ওই প্রতারক নারী ভিড়িও কলের নানা অংশ কেটে এডিট করে তার মতো করে রঙ মিশিয়ে তার ভুঁয়া ফেইসবুক আইডিতে আপলোড দেন। এমতাবস্থায় তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি তিনি জানতে পেরে সেটি সরিয়ে নেন। কিন্তু ততক্ষনে আমার প্রতিপক্ষের লোকজন আমার সামাজিক মান মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই রঙ মেশানো ভিডিওটি সংগ্রহ করে আমার সামাজিক মর্যদাকে সীমাহীন ক্ষতিগ্রস্থ করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। ভিডিও ক্লিপটি দেখা মতে- কেউ যদি কারো সাথে শারিরিক কিংবা ফোনে আপত্তিকর কিছু করে, শুধু মাত্র কি ৪২ সেকেন্ড হয়? সেটা বিবেচনা করলেও বিষয়টি হাস্যকর বটে। সংবাদে আমাকে যতটা খারাপ ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে আমি এধরণের খারাপ মানুষ নয়। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও চাকরি জীবন নিয়ে বিদ্যালয়ের বিরোধীতাকারীরাই আমার প্রতিপক্ষরা এসব করিয়াছে। যারা মুলত বিদ্যালয়টির নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলতে এতদিন উঠেপড়ে লেগেছিলো; তারাই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টায় মগ্ন হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন যোগাযোগের মাধ্যমে এডিট ভিডিওটি একের পর এক প্রচার করে আমার চরিত্র হননের অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাদের দেওয়া লিংকটির উপর ভিত্তি করে আমার নামে কয়েকটি নিউজও করিয়েছে। প্রকৃত পক্ষে আমার জীবনে বদনাম কিংবা ঘৃণা ছড়ানোর মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। কাজেই প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে- কেউ যেনো ওই সংবাদ পাঠ করে এবং ভিডিওটি দেখে বিভ্রান্ত না হন। আমার চাকরি জীবন ও অর্জিত সম্মান ধ্বংস করতে চেষ্টা করবেন না। ইন্ধন যুগিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করবেন না। অন্যথায় আমি নিজেই আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য থাকবো।

ব্যাখ্যা ও প্রতিবাদকারী-
মো: দিদারুল আলম
অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী।
খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, সদর কক্সবাজার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *