সাখাওয়াত হোসাইন:
টানা কয়েক দিনের বর্ষণে ও সমুদ্রের জোয়ারের প্রভাবে দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দ্বীপের ফসলী জমি ও ৮টি মাছ ধারার বোটসহ ১২টি বসতঘর।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা।
দ্বীপের বাসিন্দারা বলেন, অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বৃদ্ধি পাওয়াই ফসলী জমিসহ। দ্বীপের ৩ নম্বর ওয়ার্ড, ৮ নম্বর ওয়ার্ড, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম অংশ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম-দক্ষিণ অংশ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম অংশের গ্রামগুলোতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (৬ নং ওয়ার্ড) সৈয়দ আলম জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে দ্বীপের
মানুষের ফসলী জমি ও ৮টি মাছ ধরার বোট অতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকটি ওয়ার্ডে বসত ঘরে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। তবে বড় ধরনের কোন কয়কতি হয়নি।
দ্বীপের বাসিন্দা আবু তালেব জানান, জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বেশিক্ষণ স্থায়ী না হলেও লোনা পানিতে নানাভাবে ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। দ্বীপের উত্তর পাশ ঘিরে ভাঙন বেড়েছে ব্যাপক। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির নির্মাণাধীন ভবনের কাছাকাছি ভাঙন পৌঁছে গেছে। যেখানে অনেক ঘরও ভেঙে যাচ্ছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, জোয়ারের পানিতে দ্বীপ প্লাবিত হয়েছে। ভাঙন তীব্র হচ্ছে। ১২টি বসত ঘরসহ গাছ-পালা ভেঙে গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, জোয়ারের পানি দ্বীপে প্রবেশ করে প্লাবিত হওয়ার তথ্য রয়েছে।