বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
Logo

পর্যটন মেলায় পর্যটকের ঢল

দৈনিক মেহেদী / ৬১ ভিউ টাইম
আপডেট : শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সাখাওয়াত হোসাইন
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে বুধবার থেকে সপ্তাহব্যাপী শুরু হওয়া পর্যটন মেলা ও টানা তিন দিনের ছুটিতে সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। বিনোদন প্রেমীরা উৎসবে মেতেছেন এখানকার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। এবারের পর্যটকদের বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে আয়োজিত পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভাল। পর্যটকদের আকৃষ্ট করে সৈকতের পাড়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর বালু ভাস্কর্য। আর মুগ্ধকর সার্কাস প্রদর্শনীতে সবাই খুঁজে পান গ্রামীণ স্বাদ। রাতে ছিল স্থানীয় ও দেশের জনপ্রিয় শিল্পীদের পরিচিত সব গানের মুগ্ধকর পরিবেশনা। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা যায়, সমুদ্র সৈকত ও মেলা প্রাঙ্গনের পাশাপাশি বিনোদন কেন্দ্রগুলো পর্যটকদের পদচারণায় মুখর। মেলা উপলক্ষে হোটেল-মোটেল ও খাবার রেস্তোরাসহ পর্যটনের বিভিন্ন খাতে ছাড় দেয়ার কথা থাকলেও কেউ পেয়েছে, কেউ পায়নি বলে জানিয়েছে পর্যটকরা। তবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দিচ্ছে ভিন্ন তথ্য। সমুদ্র সৈকতের লাবণী থেকে কলাতলী পয়েন্টের তিন কিলোমিটার এলাকা যেন রূপ নিয়েছে জনসমুদ্রে। আগত পর্যটকদের বাধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসের ঢেউ আচড়ে পড়ছে সৈকতের বালিয়াড়িতে। তাদের কেউ এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে, কেউ পরিবার নিয়ে। এসব ভ্রমণ পিপাসুদের কেউ বিস্তীর্ণ সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘুরাঘুরি, কেউ বিচ বাইক, জেটস্কি ও ঘোড়ায় চড়ে, কেউ সাগরের নীল জলে গোসল করে, আবার কেউ কিটকটে বসে পরশ নিচ্ছেন হিমেল হাওয়ার। এতে আয় বেড়েছে সৈকতের হকারদের। পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। এদিকে সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলাকে ঘিরে হোটেল কক্ষ ও খাবার রেস্তোরাসহ বিনোদনের বিভিন্ন সেবা খাতে দামের ছাড়ের কথা বললেও আগত পর্যটকদের কেউ কেউ ছাড়তো নয়ই, উল্টো অতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তবে নিরাপত্তাসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুশি বলছেন তারা। ঢাকার মিরপুর থেকে মা-বাবার সঙ্গ বেড়াতে ৯ বছরের শিশু কাশফিয়া বলেন, স্কুল ছুটি তাই মা-বাবার সঙ্গে কক্সবাজার সৈকতে এসেছি। খুব মজা হচ্ছে। বালুচরে খেলতে খুব ভাল লাগছে। আরেক পর্যটক আরিয়ান বলেন, কক্সবাজারে ছুটি কাটাতে এসেছি। কক্সবাজারে খুব সুন্দর সৈকত আছে, বালিয়াড়িতে ঘোড়া আছে। নোনাজলে গোসল করেছি। অনেক মজা হচ্ছে। তবে মেলা উপলক্ষে যে ছাড়ের কথা বলা হয়েছে তা অনেক জায়গায় বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ ব্যাপারে একটু নজর দেওয়া দরকার। এদিকে সাগরে বিরাজ করছে বৈরী আবহাওয়া। ঢেউয়ের মাত্রাও বেড়েছে। তাই সবকটি পয়েন্টে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা। তবে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমুদ্রস্নানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে লাইফ গার্ড সংস্থা। সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার ইনচার্জ মোহাম্মদ শুক্কুর বলেন, টানা ছুটি ও পর্যটন মেলাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সৈকতে এখন লাখো পর্যটক। তাদের অধিকাংশই কিন্তু সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত। এখন তাদের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে হিমহিশ খেতে হচ্ছে। তারপরও পর্যটকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, চেষ্টা করছি পর্যটকদের সর্বচ্চো নিরাপত্তা দেয়ার। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক আয়ুব আলী বলেন, সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়ি থেকে শুরু করে প্রতিটি পয়েন্ট, হোটেল মোটেল জোন ও পর্যটন স্পটগুলোতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। এসব স্থানে সাদা পোশাকের পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এবার সাপ্তাহিক ছুটি ও পর্যটন উৎসবকে ঘিরে চার লাখ পর্যটক আগমনের আশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের।


আরো নিউজ বিভন্ন বিভাগের

আমাদের ফেইজবুক লাইক দিন

বাংলাদেশের মানচিত্র

Theme Customize By Monsur Alam