শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
Logo

বীর মুক্তিযুদ্ধা এম কামাল হোছেন এডভোকেটের সংক্ষিপ্ত জীবনী

দৈনিক মেহেদী / ৩৬৭ ভিউ টাইম
আপডেট : শুক্রবার, ২ জুলাই, ২০২১

আমিনুল ইসলাম বাহার: তিনি ১৯৪৮ সালের ৩০ শে জুন বর্তমান পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পূর্ব গোঁয়াখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম হাজী কবির আহমদ সওদাগর, মাতা- গোলতাজ বেগম । ৯ বোন ৩ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সকলের বড়।

শিক্ষাজীবন – ১৯৬৩ ইং সনে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পেকুয়া জি,এম,সি ইনষ্টিটিশন থেকে এস,এস,সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৬৫ ইং তে একই শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চট্রগ্রাম সরকারি বানিজ্য কলেজ হয়তে এইচ,এস,সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৭ ইং তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উক্ত কলেজ থেকে গ্রেজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেন।
১৯৮১ ইং তে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চট্টগ্রাম আইন কলেজ থেকে এল এল বি ডিগ্রী অর্জন করেন।

রাজনৈতিক জীবন – ১৯৬৮ ইং থেকে ১৯৭২ ইং পর্যন্ত পেকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের প্রতিষ্টাতা সাধারণ সম্পাদক ও চকরিয়া থানা আওয়ামিলীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ ইং থেকে ১৯৮৬ ইং পর্যন্ত বৃহত্তর চকরিয়া থানা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ কৃষকলীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রায় দীর্ঘ ১২ বছর।
২০০২ ইং থেকে ২০১৫ ইং পর্যন্ত জেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এবং ইতিপূর্বে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।পেকুয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মানবাধিকার কমিশন পেকুয়া উপজেলার প্রতিষ্টাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

‌কর্মজীবন -১৯৬৮-১৯৭০ইং পর্যন্ত পেকুয়া জি,এম,সি ইনষ্টটটিউশনে সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। ১৯৭২- ১৯৭৩ইং এবং ১৯৮৪-৮৮ ও ১৯৯২-৯৮ইং পর্যন্ত পেকুয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ইং থেকে পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ৫বার তিনি এডভোকেট এসোসিয়েশনে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২-১৯৯৯ইং পর্যন্ত ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (রেডক্রিসেন্ট) পেকুয়া ইউনিয়নের প্রতিষ্টাতা টিম লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বাংলাদেশ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য হিসেবে রত আছেন। ১৯৯২ ইং থেকে পর্যায়ক্রমে ২ বার পেকুয়া জি,এম,সি ইনষ্টিটিউশন পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দীর্ঘ ১২ বছরের বেশি সময় চকরিয়া উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য ছিলেন।
তিনি ২ বার পূর্ব গোঁয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে পেকুয়া উপজেলা আইন শৃঙ্কলা কমিটি উপজেলা শিক্ষা কমিটি এবং কমিউনিটি পুলিশ পেকুয়া উপজেলার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পেকুয়া ইউনিয়নের মেহেরনামা উচ্চ বিদ্যালয় পৃর্ব গোঁয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ও এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা, হেফজখানা সহ অধিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

সম্মাননা ও পুরষ্কার অর্জন – ১৯৯৩- ৯৩ ইং এবং ১৯৯৫-৯৬ ইং তে কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে ২ বার স্থানীয় সরকার পুরষ্কার স্বণ পদক অর্জন লাভ করেন।
সমাজ সেবায় বিশেষ অবদাননের সিকৃতি স্বরৃপ চট্রগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতি বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য চকরিয়াস্থ আবদুল হামিদ সৃতি সংসদ ও কক্সবাজার মরহুম তোফায়েল আহমদ সৃতি সংসদ সম্মাননা পুরস্কার লাভ করে।
তিনি চট্রগ্রামস্থ পেকুয়া সমিতি হয়তে শ্রেষ্ঠ গুনীজন পুরষ্কার লাভ করেন।তিনি ১৯৯৮ ইং তে কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষানুরাগী নির্বাচিত হন।
তিনি ২০১৪ ইং হয়তে পেকুয়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষানুরাগী নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বীরমুক্তিযুদ্বা হিসেবে দেশ স্বাধীনতায় অবদান রাখেন।

ব্যক্তিগত জীবন – তিনি ব্যক্তিগত জীবনে ২ পুত্র সন্তান ৩ কন্না সন্তানের গর্বিত জনক।
তার প্রথম সন্তান এড. রাশেদুল কবির যোগ্য উত্তারাধীকারী হিসেবে চট্রগ্রাম জজ আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। তার ২য় পুত্র মোহাম্মদ রায়হানুল কবির পেশায় একজন ইলেক্ট্রিকেল ইঞ্জিনিয়ার তাহার ১ম মেয়ে ফেরদৌসি কবির পেশায় একজন ফার্মাসিষ্ট তাহার ২য় মেয়ে সুলতানা কবির (সাথী) চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিষয়ে অধ্যয়নরত আছেন। ৩য় মেয়ে জন্নাতুল নাঈম চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবিক বিভাগে অধ্যায়নরত।


আরো নিউজ বিভন্ন বিভাগের

আমাদের ফেইজবুক লাইক দিন

বাংলাদেশের মানচিত্র

Theme Customize By Monsur Alam