গাজার উগ্রবাদী সংগঠনগুলোকে অর্থ সহায়তা করার ইসরাইলি অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল থানি। শুক্রবার ইসরাইলের এ অভিযোগকে অস্বীকার করে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন যে তার দেশ ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত গাজা পুনর্গঠনে ১ দশমিন ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। রাশিয়ার সেইন্ট পিটার্সবার্গের অর্থনৈতিক সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। সামা নিউজ এজেন্সি এ সংবাদ জানিয়েছে।

সত্যিকার অর্থে শান্তি স্থাপনে কাতার এক বিশ্বাসযোগ্য অংশীদার। কাতার বিশ্বাস করে না যে সঙ্ঘাতের সামরিক সমাধান আছে। যুদ্ধের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন সম্ভব নয় বলে মনে করেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

কাতারের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, যদিও কাতার ফিলিস্তিনের গরিব পরিবারগুলোকে সাহায্য করছে তবুও কাতার এক ধরনের অপপ্রচারের শিকার। কাতার প্রত্যেক ফিলিস্তিনিকে প্রতিমাসে এক শ’ ডলার করে দেয়। কাতারের ওই সরকারি কর্মকর্তা নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে গাজায় কাজ (সহায়তা কার্যক্রম) চালিয়ে যাবে কাতার।’

গত বুধবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল থানি তার টুইটারে বলেন, ‘গাজা পুনর্গঠনে কাতার নতুন করে আরো পাঁচ শ’ মিলিয়ন ডলার দেবে। ‘

তিনি আরো বলেন, ‘যত দিন না ফিলিস্তিনিরা পূর্ণ স্বাধীনতা পাচ্ছে ও যে পর্যন্ত না ফিলিস্তিনিদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের সাহায্য করে যাব।’

সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *