বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
Logo

খরুলিয়ার ‘দাউদ ইব্রাহিম’ খ্যাত ইয়াবা সম্রাট কালুর উত্থান

বিশেষ প্রতিবেদক / ৫২ ভিউ টাইম
আপডেট : রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩

কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ায় গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলেছে ‘রাখাল ছেলে কালু’র মাদক রাজত্ব। পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে সরাসরি ইয়াবার বড় বড় চালান কালুর নামে খরুলিয়ায় আসলে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইয়াবা সম্রাট কালুর নাম বার বার উঠে এসেছে। এরআগে অনেকটা অপ্রকাশিত ছিল ধূর্ত প্রকৃতির এই শীর্ষ ইয়াবা সম্রাট নুরুল আমিন ওরফে কালুর নাম। ১০ থেকে ১২ সদস্যের ‘পারিবারিক ইয়াবা সিন্ডিকেট’ গঠন করে কালু ফার্ণিচারের ভেতরে করে কোটি কোটি টাকার ইয়াবাবা-আইস দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করে আসছে বলে জানা গেছে। দাউদ ইব্রাহিম খ্যাত এই মাদক সম্রাটের উত্থানের গল্প এখন অনেকটা ওপেন সিক্রেট খরুলিয়ায়।

তথ্য মতে, ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে কালু দীর্ঘদিন মাদক কারবার চালিয়ে অঢেল অর্থ-কড়ি, বিপুল বিত্ত-ভৈববের মালিক বনে যায়। ২০২২ সালের শুরুর দিকে ঢাকার রমনা এলাকায় কালুর একটি ইয়াবার চালান পাচার করতে গিয়ে ডিবি পুলিশের হাতে আটক হন কালুর মালিকাধীন মিনিট্রাকের ড্রাইভার জানু বড়ুয়া ও নিরঞ্জন শর্মা নামের তার দুই শীর্ষ। এরআগে ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি কালুর ১০ হাজার পিস ইয়াবার আরেকটি চালান পাচারের সময় খরুলিয়া গরুর বাজারস্থ ইয়াছিন ক্রোকারীজের দোকানের সামনে থেকে তার সমন্ধি কামাল ও তার ভাবী শামসুন নাহার প্রকাশ শহিসোনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) হাতে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে কালুর মাদক সাম্রাজ্যের অজানা সব তথ্য। যদিওবা কালু বিভিন্ন লবিং-তদবির চালিয়ে ওই মামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করেন।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছেন, গত কয়েকদিন আগেও কক্সবাজার শহরের একটি আবাসিক হোটেলে বসে একটি চালান লেনদেন করার সময় হানা দেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসময় মাদক সম্রাট কালু হোটেল কক্ষের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে রক্ষা পেলেও ১০ হাজার ইয়াবার চালানটি জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জানা গেছে, খরুলিয়া ডেইঙ্গা এলাকার আরেক ইয়াবা ডন সাইদুল ওরফে সাইদ্দ্যার অধ্যায়ের ইতি ঘটে কিছুদিন আগে। আয়নাবাজি, মাদক ও বিদেশে অর্থ পাচারের দায়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ইয়াবা ডন নামটি ভুলে যেতে বসেছিল মানুষ। কিন্তু ইয়াবা ডন নামটি আবার জাগ্রত করে তুলে কালু নামের আরেক মাদক মাফিয়া। শশুরবাড়ির লোকজনসহ ১০/১২ জনের সিন্ডিকেট তৈরি করে ফার্ণিচারের আড়ালে ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথ বা আইসের বড় বড় চালান আনার খবর উঠে এসেছে অনুসন্ধানে। খরুলিয়ায় দাউদ ইব্রাহিম খ্যাতি অর্জন করেছে এই কালু। তিনি ঝিলংজার ৮নং ওয়ার্ডের দিনজমুর মনির আহাম্মদের ছেলে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলার উখিয়ার সীমান্তবর্তী ঘুমধূম নয়াপাড়া এলাকার আব্দুল বারির ছেলে ফরিদ। শীর্ষ এই ইয়াবা গডফাদার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দাগী সন্ত্রাসীদের সাথে সিন্ডিকেট তৈরীর পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন বহুকাল আগে। কালু ফরিদের সাথে পারিবারিক বন্ধন তৈরী করে আস্তে আস্তে সীমান্তের ওপারেও ইয়াবা ব্যবসা রপ্ত করেন। পর্যায়ক্রমে মিয়ানমারের ইয়াবা কারবারিদের কাছে আস্থা অর্জন করার পর তাকে আর পিছন ফিরে থাকাতে হয়নি।

আরও জানা যায়, খরুলিয়ায় ইয়াবা ডন সাইদুলের পাশাপাশি কালুও ইয়াবার জগতে একছত্র আধিপত্য বিস্তার করেন। নিজেই কিনে নেন মিনিট্রাগ সিএনজিসহ অর্ধশত গাড়ি। ফার্ণিচার বহনের নামে সিন্ডিকেট সদস্যদের দিয়ে সড়ক পথে মাদকের পাশাপাশি বিদেশী অস্ত্রের ব্যবসায়ও জড়ায় কালু। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক সন্ত্রাসীদের কাছে নাইন এমএম পিস্তল ও দেশীয় তৈরি বন্দুক সরবরাহের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে একসময়ের ইমানদার খরুলিয়াকে দ্বিতীয় টেকনাফ হিসেবে নামকরণ করা সিন্ডিকেট প্রধান এই কালু। তার মাদক পাচারকারি সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকার রমনা, উখিয়া, চকরিয়া-পেকুয়া, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, কক্সবাজার সদর, রামুসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। ফার্ণিচার ও গাছ ব্যবসার সাইবোর্ড ব্যবহার করে ২০১১ সাল থেকে এক ডজন আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে গড়ে তুলা সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক কালু। বর্তমানে তার মাদক পাচার করতে গিয়ে সমাজের দরিদ্র ও নিম্নভিত্ত পরিবারের অন্তত ৮ জন কারাবাস করছেন।

কালুর মাদক পাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা এক ব্যাক্তির পরিবারের সদস্যরা জানান, মাদক বহনের সময় ধরা পড়লে তার (কালু) নাম স্বীকার না করার চুক্তি করা হয় প্রথমে। সেক্ষেত্রে গ্রেফতার ব্যাক্তির জামিন ও তার পরিবারের ভরণ-পোষণের দায়ীত্ব নেন কালু। একারণে মাদক পাচারে তারা ধরাপড়লেও কেউ তার নাম প্রকাশ করেনা। তবে, জানু বড়ুয়া ও নিরঞ্জন শর্মার অভিযোগ, কারাগারে থাকাকালিন সময়ে কালু তাদের জামিন কিংবা পরিবারকে বিন্দুমাত্র সহযোগীতা করেনি।

তার মাদক বহনকারি ও একসময়ের ঘনিষ্টজনদের দাবি, সরাসরি মিয়ানমারের ইয়াবা কারখানা থেকে ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ এনে পাচার করছে সারাদেশে। ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানায় ২০ হাজার ইয়াবার প্রথম চালান জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর থেকে কৌশল পাল্টে ফেলেন তিনি। আন্ডার গ্রাউন্ডে থাকেন মাদক সাম্রাজ্যের মুকুটহীন এই সম্রাট।

নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৪ ডিমেম্বর রামুর মরিচ্যা চেকপোস্টে ২টি মাদকের চালান জব্দ করে বিজিবি। সেসময় এক কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও ৫০ হাজার ইয়াবাসহ মাদক পাচাকারি দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি)। আভিযোগ আছে, একইদিনে জব্দ হওয়া দুটি মাদকের চালানই কালুর। গ্রেফতার দু’জনই তার সিন্ডিকের সদস্য।

তারা হলেন, কালুর মাদক সিন্ডিকের সদস্য রামুর চাকমারকুল এলাকার গোলাম আক্তার চৌকিদারের ছেলে নুরুল আলম। আরেকজন খরুলিয়া ডেইঙ্গাপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে জসিম উদ্দিন।

সেদিন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানান, প্রথম অভিযানে রামুর কলঘরে আইস কেনাবেচা হবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অধিনায়ক মরিচ্যা চেকপোষ্টের জেসিও নাঃসুবেঃ মোঃ মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে বিজির একটি দল অভিযান পরিচালনা করে ক্রিষ্টাল মেথ (আইস) বেচাকেনা করার সময় নুরুল আলমকে মোটরসাইকেলসহ নায়েক মোঃ সোহেল রানা গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতার নুরুল আলমের হাতের একটি বালতির ভিতর লুকানো অবস্থায় এক কেজি ক্রিষ্টাল মেথ (আইস) উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাকা।

একইদিন দ্বিতীয় অভিযানে মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্টে কুতুপালং থেকে কক্সবাজারগামী একটি সিএনজি থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ জসিস উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। এসময় মাদক পাচার কাজে ব্যবহৃত সিএনজিটিও জব্দ করে। মাদকের এই চালানটির সর্বমোট সিজার মূল্য ১ কোটি ৫৪ লাখ এক হাজার টাকা।

সূত্রের দাবি, জসিম ও নুরুল আলম কালুর মাদক চক্রের সক্রিয় সদস্য। কালু ওই দু’জনকে জামিন করিয়ে দেবেন বলে আশ্বস্ত করায় বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাদকের মুল মালিক কালুর নাম স্বীকার করেনি। ওই দু’জনকে কালু ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই দুটি মাদকেরর চালান কক্সবাজার পৌঁছে দেওয়ার জন্য দিয়েছিল বলে একাধিক কারান্তরীণ পরিচিতদের স্বীকার করে নুরুল আলম ও জসিম উদ্দিন।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কালুর টেকনাফ উপকূলীয় একটি ইয়াবা সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- মিঠাপানির ছড়ার নুর বশর প্রকাশ বুলু ড্রাইভার (তার রয়েছে তিনটি ফিশিং বোট), টেকনাফ সদর হাতীয়ার ঘোনার আব্দুল্লাহ, উত্তর লেঙ্গুরবিলের মো. আয়াছ, সোলাইমান, জাহালিয়া পাড়ার মো. জাফর, মো. আয়াছ, হাতিয়ার ঘোনার মো. আবদুল্লাহ ও একই এলাকার মোহাম্মদ রশীদ (আনুইয়া)। এদের প্রত্যেকেরই ফিশিং বোট রয়েছে। সেইসাথে মাদক মামলার আসামীও তারা।

স্থানীয় এক যুবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে বলেন, ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে কালুর একটি ট্রাক কাগজপত্র সমস্যার কারণে চকরিয়া থানা জব্দ করেছে বলে দাবি করে গাড়িটি ছাড়িয়ে নিতে আমাকে প্রস্তাব দেন। পরে আমি থানায় গিয়ে জানতে পারি ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ র‌্যাব গাড়িটি জব্দ করে থানায় হস্তান্তর করে। সেদিন থেকে জানতে পারি কালু কত বড়ো ইয়াবা গডফাদার। তার কথা মতো কাজ না করার কারণে কালু আমাকে নিয়ে নানান ষড়যন্ত্র শুরু করে। তখন কালুর বিরুদ্ধে থানায় জিডি এবং র‌্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ করে তার রোষানল থেকে রক্ষা পেয়েছি।

খরুলিয়া এলাকার সচেতন মহল জানান, কালুকে দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই সে কত বড় মাপের মাদক কারবারি। শরীরে তল্লাশি করেও কিছু খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তার ইয়াবা বহনের অভিনব কৌশল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কল্পনাকেও হার মানায়। অভিনব কৌশলে পাচারকারিদের মাধ্যমে মাদক কারবার করছে; যা রীতিমতো বেকায়দায় ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও।

নাম প্রকাশে অনিহা জানিয়ে এক সিএনজি ড্রাইভার বলেন, আমি কালুর সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতাম। প্রথমে প্রথমে কালুর কথামতো তার মাদক বহন করেছি। কিছুদিন আগে তার একটি মাদকের চালান নিয়ে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছি। এতে তিনি আমাকে জামিনে ছাড়িয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কালু কথা রাখেনি। এখন তার মাদক বহনে অনীহা জানালে গাড়িটি আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। বর্তমানে কালুর গুন্ডাবাহিনীর হুমকির মধ্যে আছি। আমার কাছ থেকে নেওয়া টাকাগুলোও ফেরত দেন নি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এক সময়ের রিক্তহস্ত কালু খরুলিয়া কোনার পাড়া এলাকায় ক্রয় করেছেন ১ গন্ডা জমি। সেখানে গড়ে তুলেছেন সেমিপাকা ভবন। এছাড়াও কোনার পাড়া এলাকার নুরুন নবীর বাড়ির সামনে ক্রয় করেছেন ২০ শতক জমি। ঝিলংজার দক্ষিণ ডিক্কুল এলাকায় ক্রয় করেছেন ৩ গন্ডা জমি। পিএমখালী ইউনিয়নের পাতলী এলাকা থেকে দুটি দলিলে দু’জায়গায় ক্রয় করেছেন ৮০ শতক জমি। খরুলিয়ার ডিক্কুল বিল নামক জায়গায় ক্রয় করেছেন ১০ শতক জমি। সম্প্রতি বাহাদুর নামের একজনের কাছ থেকে পাতলী এলাকায় ক্রয় চুক্তি করেছেন ৩০ শতক জমি। খরুলিয়া বাজারে একটি ফার্নিচারের দোকান, ৪০ টি সিএনজি ও ৪ টি মিনিট্রাক রয়েছে। এই গাড়িগুলো মূলত মাদক পাচারের কাজে ব্যবহৃত হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে বিপুল টাকার সম্পত্তি ক্রয় রয়েছেন এই মাদক সম্রাট।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, কালু ক্রিস্টাল মেথ ও ইয়াবা আনেন সরাসরি মিয়ানমারের আকিয়াব থেকে। ওপারের রোহিঙ্গাদের সাথে সিন্ডিকেট রয়েছে তার। রোহিঙ্গাদের ১০/১৫ জন দেশী ও রোহিঙ্গা ডাকাত দিয়ে সশস্ত্র পাহারায় বিভিন্ন সময়ে টেকনাফ লেংগুর বিল ঘাট, তুলাতলি ঘাট, হাতিয়ার ঘোনার ঘাট, মিঠাপানির ছড়া ঘাট, হাবিরছরা ঘাট, নোয়াখালী পাড়া ঘাটে ইয়াবা খালাস করে। ৩০টি মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে উপকূলীয় এই সিন্ডিকেটের। সব ফিশিং বোটের মাঝিরা রোহিঙ্গা হওয়ায় তাদের ওই দেশের সব জায়গা পরিচিত এবং সাগরপথও অজানা নয়। এই কালু টেকনাফ উপকূলীয় সিন্ডিকেটসহ স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের সমন্বয়ে গঠিত আরও ৩/৪ টি ইয়াবা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে আসছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

একটি বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এই টেকনাফ উপকূলীয় সিন্ডিকেট টিকিয়ে রাখতে মাদক কারবারিদের সুরক্ষায় ফরিদ ও তার এক সহযোগী বিভিন্ন দপ্তরে তদবির চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের পরিচয় সনাক্তে কাজ করতে গোয়েন্দা সংস্থা। এই ফরিদই উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তে কালুর ইয়াবা সিন্ডিকেট সদস্যদের সুরক্ষার কথা বলে ফায়দাও হাসিল করছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হলে ক্রসফায়ারের ভয়ে কিছুদিন মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেন কালু। মেজর সিনহা হত্যার পর মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে ভাটা পড়লে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। তার নামে কোন মাদক মামলা না থাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়ান কালু। দাম্ভিকতার সাথে অনেকটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিশ্বস্ত তল্পিবাহক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে এই মাদক মাফিয়া।

তার বাপ-দাদা একসময় ভিক্ষা ও দিনমজুরী কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বাপ-দাদার আদিপেশাকে পেছনে ফেলে মাদক ব্যবসাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন এই মাদক সম্রাট। তাকে অচিরেই আইনের আওতায় আনা না হলে ইমানদার খরুলিয়ার প্রতিটি বাড়ি মাদকের ডিপুতে পরিণত হবে এমনটাই বলছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কালুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেকে একজন সফল ফার্ণিচার ব্যবসায়ী দাবী করে যাবতীয় কাগজপত্র প্রতিবেদকের সামনে উপস্থাপন করবেন বলে আশ্বস্ত করে মুঠোফোনের সংযোগটি বিছিন্ন করে দেন।

এছাড়াও কালুর মাদক সম্রাজ্যের অজানা আরো তথ্য জানতে চোখ রাখুন দৈনিক মেহেদী পত্রিকায়…


আরো নিউজ বিভন্ন বিভাগের

আমাদের ফেইজবুক লাইক দিন

বাংলাদেশের মানচিত্র

Theme Customize By Monsur Alam