নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় রাজনীতির মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে।
গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে (২য় ধাপে)। এ বছরও এ উপজেলার মার্চের শেষ নাগাদ অথবা এপ্রিলের প্রথম দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। বর্তমানে চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত আছেন কায়সারুল হক জুয়েল। তবে ঈদগাঁও নতুন উপজেলা নামকরণ হওয়াতে কায়সার হক জুয়েল ঈদগাঁও উপজেলায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেনা বলে মন্তব্য করছেন অনেকেই।
উপজেলা নির্বাচনের আলোচনার শীর্ষেস্থানে রয়েছেন কক্সবাজার প্রবাসী আওয়ামীলীগ,মক্কা সৌদি আরব শাখা সভাপতি সামসুল আলম। তিন শীতের মৌসুমে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা,গরীব অসহায় মানুষদের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা,ঈদের সময় ঈদ উপহার, কোরবানি ঈদের সময় গরুর মাংস বিতরণসহ সমাজের উন্নয়ন মূলক কাজ করে আসচ্ছে বিগত পাঁচবছর।
এলাকার জন্য কতটুক কাজকর্ম করেছেন, দলের জন্যে কে কতটা অবদান রেখেছেন এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। প্রার্থী হিসেবে যারা এগিয়ে আসছেন দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্যে, আর এ লক্ষ্যে গ্রুপিং লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন, তারা দলের জন্যে কে কী করছেন- নেতা-কর্মীরা প্রার্থীদের এসব সামগ্রিক কর্মকান্ডে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে চলছেন। যে প্রার্থীরা নেতা-কর্মীদের মন জয় করতে সক্ষম হবেন তথা দলীয় আদর্শে থেকে দলের জন্যে নিবেদিতভাবে কাজ করছেন এমনটি স্পষ্ট হয়ে উঠবে তারাই মনোনয়ন পাবেন বলে অভিজ্ঞ মহল ধারণা করছেন।
পশ্চিম গোমাতলী মাওলানা আব্দুল্লাহ বলেন অসহায় দিনমজুর মজলুম মানুষের পাশে যেই ব্যাক্তি থাকেন। আল্লাহ সহায়ন তার সাথে থাকে। সামসুল আলম প্রবাস জীবনে থাকা অবস্থায় শীতবস্ত্র থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই দেননি। আমরা দোয়া করি তার জন্য আল্লাহ যেন তার মনের ইচ্ছে পূর্ণ করুক।
পোকখালী এলাকার বৃদ্ধ মহিলা ফাতেমা বেগম বলেন আমি শীতে কাঁপছি এমন সময় একজন লোক এসে একটি কম্বল দিয়ে বলছে সামসুল আলম ভাই আপনার জন্য কম্বল পাঠিয়েছেন। আমি তার জন্য দোয়া করি।এইভাবে পাঁচ ইউনিয়ন ঘুরে দেখা মিলে আলোচনায় শীর্ষস্থানে সামসুল আলম।
প্রবাসী আওয়ামীলীগ,মক্কা সৌদি আরব শাখা সভাপতি সামসুল আলম জাতীয় অর্থনীতির প্রতিবেদক মোঃ ওসমান গনি (ইলি) কে বলেন নানান সময়ে সুখে-দু:খে ও আপদে বিপদে ঈদগাঁওবাসীর পাশে ছিলাম এবং আছি। প্রবাস জীবনে পরিশ্রম করে যে পরিমাণ উপার্জন করেছি তাতে আমার পরিবার সুখে শান্তিতে বাকী জীবনের সময় টুকু পার করে দিতে পারবে। আমি দেশে এসে এলাকায় থেকে ঈদগাঁও উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নবাসীর সেবা করতে চাই। যদিও তারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করলে।উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার হয়তো শেষ চমক দেখাতে পারেন সামসুল আলম।