রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
Logo

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য! বেপরোয়া মনু মিয়ারখুঁটির জোর কোথায়?

দৈনিক মেহেদী / ২১৭ ভিউ টাইম
আপডেট : সোমবার, ২১ জুন, ২০২১

 

 

বার্তা পরিবেশক:
মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালী গ্রামের মৃত সাহেব মিয়ার খতিয়ান ভুক্ত জায়গা জবরদখলে নিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় মৃত আব্দুর রহমান এর পুত্র মনু মিয়া। সরেজমিনে স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, মৃত সাহেব মিয়ার স্ত্রী ছকিনা খাতুন হতে ২৭/০৫/১৯৮৪ ইং তারিখে ৪১২৪ ও ৪১৩৬ নম্বর রেজিঃযুক্ত কবলামূলে মোট ০.০৯ একর জমি ক্রয় করেন মনু মিয়া। সে ঐ মোতাবেক বিএস ১১২ নং খতিয়ানের
বিএস ৩৭৯ ও ১০৩ নং দাগে ভোগ দখলে রয়েছেন। এছাড়াও সাহেব মিয়ার তিন ছেলের কাছ থেকে বিগত ০৮/১১/১৯৯৫ ইং তারিখে ১৬১৮ নম্বর কবলামূলে ০.০৩৩ একর জমি ক্রয় করেন এবং ১৭/০৯/১৯৯৬ ইং তারিখে ১৩৫০ নং কবলামূলে ০.২৫ একর জমি ক্রয় করে ১০৩ ও ৩৭৯ নং বিএস দাগে ভোগ দখলে আছেন। এরপরও এলাকার কিছু কুচক্রী মহলের ইন্দনে মনু মিয়া তার ভোগ দখলীয় জায়গার পরিবর্তে সাহেব মিয়ার ওয়ারিশানদের বসতভিটা ও ভোগ দখলীয় বিএস ৩৭৮ নম্বর দাগে ১৬৮ নং খতিয়ান সৃজন করে জবর দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানান অনেকেই। মনু মিয়া গংরা বিগত ২৮/১১/২০১৯ ইং তারিখে অবৈধ অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ হয়ে সাহেব মিয়া গংদের জায়গা জবর দখল করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে মনু মিয়ার সাঙ্গপাঙ্গদের অবৈধ অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মকভাবে জখম হয় আবুল কালাম ও তার পুত্র তারেকুল ইসলাম। সরজমিন তথ্য সংগ্রহকালে স্থানীয়রা জানান – মনু মিয়া মৃত সাহেব মিয়ার ওয়ারিশানদের কাছ থেকে জায়গা ক্রয় করেছেন তা ঠিক এবং দীর্ঘ তিন যুগধরে ইউনুছখালী মৌজার বিএস ১১২ নং খতিয়ানের ১০৩ ও ৩৭৯ দাগে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলেও আছেন। তারমধ্যে বিএস ৩৭৯ দাগের ক্রয়কৃত অংশ স্থানীয় আব্দুর রশিদ নামের এক ব্যক্তির সাথে মৌখিক এওয়াজ নামা করে এককভাবে ১০৩ নং দাগে সমুদয় জমি ভোগ দখলে আছেন। যা সরজমিন তদন্তে প্রমাণিত হবে বলে জানান সাহেব মিয়ার পুত্র আবুল কালাম। তা সত্বেও ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে হঠাৎ করেনমনু মিয়া তার সৃজিত বিএস খতিয়ান ১৬৮ এর অজুহাতে সাহেব মিয়া গংদের ভোগ দখলে থাকা ৩৭৮ নং দাগের ১০ শতক জমি দখলে নিতে বেপরোয়া হয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে বেশ কয়েকবার হামলা করেন বলে জানান স্থানীয়রা । তখন নিজের সহায় সম্পত্তি রক্ষায় আইনি সহায়তা পেতে সাহেব মিয়ার পুত্র আবুল কালাম বাদী হয়ে এম আর মামলা নং ৫০২/২০২০ দায়ের করেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালত সরজমিন তদন্ত সাপেক্ষে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা জারি করেন। এরইমধ্যে আদালতে মিথ্যে তথ্যের ভিত্তিতে বিগত ১৭/০৭/২০২০ ইং তারিখে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা’র দরখাস্ত দেন মনু মিয়া। একই জমি নিয়ে দু’পক্ষের ১৪৪ ধারা জারি হওয়ার প্রেক্ষিতে সরজমিন তদন্ত প্রতিবেদনে সহকারী কমিশনার (ভুমি) উল্লেখ করেন যে বিরোধীয় সমুদয় জমি সাহেব মিয়ার ওয়ারিশদের ভোগ দখলে আছেন। তাই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মনু মিয়ার ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা আবেদনে এম আর মামলা নং ৫৪১ /২০২০ এ বিবাদী আবুল কালাম গংদের বারিত করার আদেশটি বিগত ১০/০৩/২০২১ তারিখে প্রত্যাহার করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আমিন আল পারভেজ। এরপরও মনু মিয়া বিভিন্নভাবে বিএস ৩৭৮ নং দাগে জবর দখলের জন্য হাঁকা বকা করে যাচ্ছেন। এরইমধ্যে স্থানীয় চেয়ারম্যান ইউনুছখালী – বাজারের পশ্চিমের সড়কের সম্প্রসারণের জন্য সড়কের পাশে রোপিত ম্যালেরিয়া গাছ কেটে জায়গা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন জায়গার মালিক আবুল কালাম গংদের। তখন আবুল কালাম চেয়ারম্যানকে জানান- সড়কটি বর্তমানেও তার বিএস ১১২ নং খতিয়ানের ৩৭৮ নং দাগের ওপর। এছাড়াও এই সড়কের অন্যান্য অংশের চেয়ে তাদের মাথা খিলা অংশে প্রস্থে বড়ো তাই অতিরিক্ত জায়গা দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নই। ঐ পর্যায়ে সড়কের জমি নির্ধারনে পরিমাপের সিদ্ধান্ত হয়। স্থানীয় সার্ভেয়ার রতন কুমার দে চেয়ারম্যান এর মৌখিক নির্দেশে সরজমিন সিট দেখে জমি পরিমাপ করেন। তখন দেখা যায় যে, বর্তমানে সড়কের পাশের

ম্যালেরিয়া গাছ গুলো বিএস ১১২ নং খতিয়ানের ৩৭৮ দাগের জমিতে রোপিত এমনটাই জানান আবুল কালাম। এর সত্যতা জানতে সার্ভেয়ার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- ঐদিন ইউনুছখালী বাজারের পশ্চিমের সড়কের জায়গা নির্ধারনে পার্শ্ববর্তী বিএস ১১২ নং খতিয়ানের আবুল কালাম গংদের জমি পরিমাপ করা হয়। সেখানে ম্যা
ম্যালেরিয়া গাছগুলো আবুল কালাম গংদের খতিয়ানভুক্ত জমিতে তা চিহ্নিত হয় বলে জানান সার্ভেয়ার রতন কান্তি দে। ইতোমধ্যে আবুল কালাম গংদের প্রয়োজনে গাছগুলো কাটা শুরু করলে অন্যায়ভাবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মনু মিয়া দলবল নিয়ে হামলা করতে আসলে আত্মরক্ষার্থে আবুল কালাম গংরা সরে পড়েন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা। স্থানীয়রা জানান সড়কের পাশের গাছগুলো আবুল কালাম গংরা মাটি কেটে ভরাট করে রোপন করেছেন তাদের পৈত্রিক জমিতে। বর্তমানে ঐ গাছগুলো নিয়ে যে চক্রান্ত হচ্ছে তা কোন ভাবেই শুভ লক্ষ্মণ নই। ষড়যন্ত্রকারী মনু মিয়া আবারও ভাড়াতে সন্ত্রাসী নিয়ে যে-কোন মুহূর্তে অতর্কিত হামলা চালাতে পারে বলে মনে করেন অনেকেই। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মনু মিয়া বারবার জবর দখল চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ায় যে-কোন মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও আবুল কালাম গংদের পৈত্রিক বসতবাড়ি ও জমি দখলের অভিযোগ বিষয়ে জানতে বেশ কয়েকবার সরজমিনে গিয়ে মনু মিয়াকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা ও অনাকাঙ্ক্ষিত জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান সচেতন মহল। অন্যতায় যে কোন সময় আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি ঘটতে পারে।


আরো নিউজ বিভন্ন বিভাগের

আমাদের ফেইজবুক লাইক দিন

বাংলাদেশের মানচিত্র

Theme Customize By Monsur Alam